সালাম শান্তির সোপান। সালাম অন্তরে প্রশান্তির জন্ম দেয়। কল্যাণ বয়ে আনে। দাম্ভিক আত্মাকে পবিত্র করে তোলে। অহংকার থেকে মুক্তি দান করে। সালামের মাধ্যমে একে অপরের শান্তি কামনা করা হয়। এতে করে মানুষে মানুষে হৃদ্যতা গড়ে ওঠে। সমাজে অনাবিল সুখ-শান্তি আর ভালোবাসা বিরাজিত হয়।
হাদিসে এসেছে, এক মুসলমান আরেক মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সালাম-মুসাফাহা করলে তারা পৃথক হওয়ার আগেই আল্লাহ তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা পরস্পর পরস্পরে সালামের ব্যাপক প্রচার-প্রসার কর। এতে করে তোমাদের মাঝে শান্তি ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে (মুসলিম)।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যখন ঘরে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দুয়া (সুরা নূর : ৬১)।
সালাম দেওয়া সুন্নত। কিন্তু এর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। তবে আমাদের সমাজে অনেকে সালামের উত্তরে শুধু হাত বা মাথা দিয়ে ইশারা করে থাকেন, এমনটা করলে সালামের ওয়াজিব আদায় হয় না। কারণ, সালামের উত্তর যথাযথভাবে উচ্চারণ করে এবং সালামদাতাকে শুনিয়ে দেওয়াও ওয়াজিব। তবে যদি সালামদাতা বধির হন অথবা এমন দূরে থাকেন যেখানে আওয়াজ পৌঁছবে না, সেক্ষেত্রে মৌখিক জবাবের পাশাপাশি ইশারাও করা যাবে। যেন সালামদাতা বুঝতে পারেন যে, তার সালামের উত্তর দেওয়া হয়েছে (সহীহ বুখারী ও জামে তিরমিজি)।
এটিআর