ছবি : সংগৃহীত
দেখা হলেই মুসলিমরা পরস্পর ‘সালাম’ বিনিময় করে। সালাম পরিপূর্ণ একটি ইসলামি অভিবাদন। এটি আরবি শব্দ। অর্থ- শান্তি, কল্যাণ ও শুভকামনা। সালাম দেওয়া সুন্নাত এবং সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব।
সালাম ও সালামের জবাবের মধ্যে কিছু লক্ষ্যণীয় বিষয় রয়েছে, যেগুলো আমাদের অনেকেরই জানা নেই। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন কেউ তোমাদেরকে সালাম করে, তখন তোমরা (তাকে) তদপেক্ষা উত্তমরূপে সালাম দিও কিংবা (অন্ততপক্ষে) সেই শব্দেই তার জবাব দিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর হিসাব রাখেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৮৬
আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে মুসলমানদেরকে সালাম ও তার জবাব দেওয়ার পদ্ধতি শিখেয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেউ তোমাদের সালাম দিলে তোমরা তাকে এর চেয়ে উত্তম শব্দে সালাম দিও।
অতএব কেউ যদি- ‘আসসালামু আলাইকুম’-বলে সালাম দেয়, তাহলে উত্তরদাতার জন্য উত্তম হলো- ‘ওয়ালাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ’-বলে উত্তর দেওয়া।
সালামদাতা যদি-‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ’-বলে, তাহলে উত্তরে-‘ওয়ালাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’-বলা। তবে শব্দ না বাড়ালেও অন্তত সালামদাতা যতটুকু বলে, ততটুকু শব্দে জবাব দিতে হবে।
আর কেউ যদি-‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু’-বলে সালাম দেয়, তাহলে তার উত্তরেও বলা হবে-‘ওয়ালাইকুম আস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’।
একাধিক হাদিস শরিফে উল্লেখ আছে যে, রাসুল (সা.) সাহাবায়ে কেরামের সালামের উত্তরে ‘ওয়া রহমাতুল্লাহ’ বা ‘ওয়া বারাকাতুহু’ পর্যন্ত বাড়িয়ে বলতেন।
তথ্যসূত্র : সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৪৭৩, তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ২৮১৪ ও অন্যান্য
বিএইচ/