নিঃসঙ্গতার বেলা ফুরিয়ে বিয়ে জীবনে পূর্ণতা আনে। আনে প্রাপ্তি ও প্রশান্তি। একটি পবিত্র বিবাহিত জীবনে ঝড় তোলে জগতের সমূহ সুখ। বরকতের ফল্গুধারায় জীবন হয়ে ওঠে ঝলমলে। তাই জীবনকে রাঙাতে বিয়ের ভূমিকা অপরিসীম। দয়াময় আল্লাহ মহাগ্রন্থ আল কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন, যারা সৎ ও ন্যায়পরায়ণ থেকে বিয়ে করবে, তাদের রিজিক বাড়িয়ে দেবেন তিনি। রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদেরকে বিয়ে দাও। তারা যদি অভাবী হয়, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।’
কিন্তু বর্তমান সময়ে অনেকে ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটে বিয়ের সঠিক বয়স পার করে দিচ্ছেন। আবার অনেকের ইচ্ছে থাকলেও বিয়ে করতে পারছেন না। ফলে হতাশায় নুয়ে পড়েন তারা।
চলুন তাহলে জেনে নিই সহজে বিয়ে হওয়ার ২ আমল-
গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা : আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা পছন্দ করেন। তাই বিয়ের আগে কোনো অবৈধ সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করা তাঁর পছন্দ না। সে জন্য সবসময় গুনাহমুক্ত থাকতে হবে। নবিজি (সা.)বলেছেন, ‘তোমাদের কাছে এমন কোনো ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সঙ্গে তোমাদের মেয়েদের বিয়ে দাও। তোমরা যদি তা না কর, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে’ (ইবনে মাজাহ)।
বেশি বেশি বিয়ে হওয়ার দোয়া পড়া : আল কুরআনে বিয়ের জন্য বিশেষ একটি দোয়া রয়েছে। প্রত্যেক নামাজের পর এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হবে। নামাজ ছাড়াও যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় এই দোয়াটি পড়া যাবে- ‘রব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ’ইউনিন, ওয়া জাআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা। অর্থ: ‘হে আমাদের প্রভু, আমাদেরকে চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। আর আমাদেরকে মুত্তাকিদের জন্য আদর্শ বানিয়ে দিন’ (সুরা ফুরকান: ৭৪)। এছাড়াও দ্রুত বিয়ের জন্য বেশি বেশি সালাতুল হাজত আদায় করতে রব্বেকা’বার দরবারে দোয়া করতে হবে।
ইডি / এটিআর