Logo
Logo

রাজনীতি

‘ভারতের ইশারায় বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দিন’

সরকারের প্রতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুকের আহ্বান

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২১:২৪

‘ভারতের ইশারায় বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দিন’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক | ছবি : সংগৃহীত

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সিলেটের পাথরগুলো আল্লাহর দেওয়া বড় এক নেয়ামত। পাথর, বালু, কয়লা, তেল-গ্যাসের মতো এগুলো দেশের খনিজ সম্পদ। আমাদের এই সম্পদ যথাযথ ব্যবহার হলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হবে। এজন্য ভারতের ইশারায় বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দিন। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, ফ্যাসিবাদি শেখ হাসিনা ২০১৮ সাল থেকে পরিবেশ দূষণের অযুহাতে কোয়ারি থেকে পাথর, বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে এলসি পাথর আমদানি করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে খুশি করে রেখেছিল। অথচ পাথর উত্তোলন পরিবেশে কোনও প্রভাব ফেলে না। এটা সরকারের একধরনের ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। মূলত এটি ভারতীয় আগ্রাসনের পথ সুগম করার কূটকৌশলের অংশ। যা দেশের অর্থনীতির জন্য বিরাট হুমকি। 

তিনি আরও বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোতে প্রতিদিনই নানা ধরনের বর্জ্য পড়ছে। এর ৬০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের শিল্পবর্জ্য। নদী দূষণের ফলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। যা নিয়ে পতিত সরকার কার্যকরী কোনও ভূমিকা রাখেনি। অথচ সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিবেশ দূষণের অযুহাতে ভিনদেশি ইশারায় বন্ধ করে রেখেছে পাথর কোয়ারি।

তিনি বলেন, সিলেটের প্রতিটি পাথর কোয়ারির সাথে জড়িয়ে আছে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান, হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়, যা স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতির মজুবত ভিত্তি। দীর্ঘদিন কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোয়ারির সাথে জড়িত পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ী, বেলচা, বারকি, পরিবহন ও লোড-আনলোড শ্রমিকরা। ইতোমধ্যে শত শত ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে দেশ ছেড়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর