ছবি : সংগৃহীত
শহীদদের নামে ২২০টি উপজেলা স্টেডিয়াম হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মাঠের নামকরণ হয়েছে ‘শহীদ ফারহান খেলার মাঠ’। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নাম করেছি শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামের নাম পুলিশের গুলিতে শহীদ মারুফের নামে করা হয়েছে। ২২০টির অধিক উপজেলা স্টেডিয়াম হবে। আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ২২০টি স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার শহীদের নামে নামকরণ করা হবে।’
পাঠ্যপুস্তকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে জানিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘যারা শহীদ হয়েছে, তাদের ত্যাগ এবং রক্তের মূল্য কখনও পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ আছে, সেটা আমরা চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সময় স্বল্পতার কারণে অন্তর্ভুক্তিটা হয়তো ততটা দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে না। একটা চ্যাপ্টার আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে থাকবে এবং সেইখানে আমাদের শহীদদের স্মৃতি কথা লেখা থাকবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে পরবর্তী বছরের পাঠ্যপুস্তকে যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পড়তে পারে সেই জন্য শহীদদের গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি, সেই প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের আত্মত্যাগ যেন হারিয়ে না যায়। ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকে তাদের আত্মত্যাগ যেন তুলে ধরা হয়।’
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্লাহ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম ভূইয়া এবং মা ফারহানা দিবা।
এমজে