‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নুর, ক্ষমা না চাইলে ব্যবস্থা’
আদালত প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫
ছবি : সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি নুরুল হক নুর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে মনে করা হচ্ছে জানিয়েছে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায়) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গণমাধ্যমে তার (নুর) দেওয়া ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর তার একদল সহযোগী ও বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে উসকানিমূলক ও মানহানিকর স্লোগান দিয়ে মিছিল করেন। মিছিল নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান ফটক দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাধার মুখে ঢুকতে না পেরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে ট্রাইব্যুনালের গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের ভিত্তিহীন, বানোয়াট, অসত্য ও উসকানিমূলক কিছু অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নুরের আনা এসব মিথ্যা অভিযোগ ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। তার এমন বক্তব্যের ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও চিফ প্রসিকিউটরের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর এবং তার দলীয় কর্মীদের এমন বেআইনি কার্যকলাপ সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তার এ হঠকারী কার্যক্রমে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত ও বাধাগ্রস্ত করার শামিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নুরুল হক নুর ও তার দলীয় কর্মীদের এই বেআইনি ও ষড়যন্ত্রমূলক কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে দুই সহস্রাধিক হত্যা ও অর্ধলক্ষ ভাইবোনের নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়ার জন্য পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও বিজ্ঞ চিফ প্রসিকিউটর সম্পর্কে ব্যক্তিস্বার্থে এমন কার্যক্রম অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। নুরুল হক নুর তার এই ভিত্তিহীন, অসত্য ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য প্রত্যাহারপূর্বক ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেইউ/এমজে/এমএইচএস