সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৯
ছবি : সংগৃহীত
বিতর্কিত ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তবে এর আগে এই আইনের অন্তত ১০টি ধারায় করা মামলা চলমান রাখতে ‘হেফাজত’ নামের বিশেষ বিধান যুক্ত করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি)।
আজকের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের আইনি যাচাই (ভেটিং) শেষে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২২, ২৩, ২৭, ৩০, ৩২ ও ৩৫-এর অধীনের মামলা চলমান থাকবে। এসব ধারার মামলার মধ্যে বেআইনিভাবে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে প্রবেশ করা, কম্পিউটার সিস্টেম ও ডিজিটাল ডিভাইসে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন বা কম্পিউটার সোর্স কোড বদল করা সংক্রান্ত বিদ্যমান সব মামলা চলবে।
এ ছাড়া যেকোনো ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক জালিয়াতি বা প্রতারণা, সাইবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ব্যাংকিং চ্যানেলের ই-ট্রানজেকশন, হ্যাকিং ও কোম্পানি কর্তৃক অপরাধসংক্রান্ত মামলা।
প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ চিহ্নিত, প্রতিরোধ ও দমন এবং এসব অপরাধের বিচার নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়।
দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিরা আইনটি বাতিলের দাবি জানান। আইনটি সংশোধনের বিষয়ে টিআইবিও একটি প্রস্তাব দেয়, যা বিদ্যমান পরিস্থিতি ও বাস্তবতা বিবেচনায় আমলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
ডিআর/এমএইচএস