জানুয়ারিতে আস্থা ভোট দেওয়া কথা থাকলেও প্রবল চাপের মুখে বড়দিনের আগেই আস্থা ভোট নিতে রাজি হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। রোববার (১০ নভেম্বর) শলৎস জানান, তিনি বড়দিনের আগেই আস্থাভোটে রাজি আছেন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শলৎস বলেন, ‘যদি সকলে একমত হন, তাহলে বড়দিনের আগে আস্থাভোট নিতে আমার কোনো অসুবিধা নেই। আমি ক্ষমতায় সেটে বসে থাকতে চাই না।’

গত সপ্তাহে শলৎসের নেতৃত্বে তিন দলের ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে গেছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন চ্যান্সেলর শলৎস। এখন নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে আস্থা ভোট নেওয়াটা জরুরি।

শলৎস প্রথমে জানিয়েছিলেন, তিনি আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি আস্থা ভোট নেবেন। কিন্তু তারপর প্রবল চাপের মুখে পড়ে তিনি আস্থা ভোট এগিয়ে আনতে সম্মত হয়েছেন।

ওলাফ শলৎস জানান, তিনি এই জোট ভাঙার জন্য দায়ী নন। তিনি কোনোরকম উসকানি দেননি বরং তিনি শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন, যাতে এসপিডি, গ্রিন ও এফডিপি-র জোট অটুট থাকে।

তিনি বলেন, ‘আমি সহযোগিতা ও সমঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু সময় খুবই খারাপ ধরনের খেলা হয়েছে। কিন্তু এখন সব শেষ হয়ে গেছে।’

দেশটিতে সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে জোটের মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। তার পরিণতিতে লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন শলৎস। এর ফলে জোটে শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি থেকে যায়।

এসবি