মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর একটি বোমারু বিমান লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে চীন। স্থানীয় সময় রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর নামখামে সীমান্তের খুব কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিমানটিকে লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়ে চীন।
গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী।
স্থানীয় বাসিন্দার বরাতে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭.৩০ মিনিটে বোমারু বিমানটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) নিয়ন্ত্রিত নামখাম শহরের কাছে পৌঁছায়। এর ৩০ মিনিট পরে বিমানটি টিএনএলএ-এর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা শুরু করলে চীনা সেনারা বিমানটিকে লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি চালায়। যেন বিমানটি চীনের আকাশসীমায় প্রবেশ না করে।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, ‘যখন বোমারু বিমানটি নামখামে ইউটার্ন নিতে চীনের দিকে রওনা হয়েছিল, তখন চীন নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ আটকাতে গুলি ছোঁড়ে। কিন্তু বিমানটি প্রায় ৫ মিনিট পরে নিজের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য আবার আগের স্থানে ফিরে এলে চীন আবারও গুলি চালায়।
সতর্কতা গুলি ছোঁড়া সত্ত্বেও, বিমানটি টিএনএলএ-এর ঘাঁটি এবং নামখাম থেকে ১.৬ কিলোমিটার পূর্বে একটি গ্রামে তিনটি বোমা ফেলে। এরপর বিমানটি থেকে কাচিন রাজ্যের পার্শ্ববর্তী মান ওয়েই গি পাড়ায় আরো চারটি বোমা ফেলা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে এই বোমা হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। টিএনএলএ-এর মুখপাত্র লুই ইয়া ওও জানান, ‘আমি শুনেছি জান্তা বিমানগুলো মিউজ সীমান্তের বাণিজ্য অঞ্চলের চারপাশে টহল দিচ্ছে এবং চীন বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে।’
চলতি মাসের শুরুর দিকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে অভিযোগ করা হয়, চীনা বাহিনী সোভিয়েত আমলের একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানে গুলি চালিয়েছে।
এছাড়াও, গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে জান্তা বাহিনী নামখাম শহরের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালিয়েছিল। ওই হামলায় শিশু এবং একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ১১ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।
দ্য ইরাবতী/এসবি