স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভোর ৪টা থেকে লেবাননে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। সেখানে সন্দেহভাজনদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।  

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

যুদ্ধবিরতির একদিন না যেতেই গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখনো লেবানন ছেড়ে যায়নি তারা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জোর দিয়ে বলে, লিতানি নদীর দক্ষিণে কোনো বেসামরিক আন্দোলনের অনুমতি নেই। কারণ এরই মধ্যে সীমান্তে লেবানিজ বাসিন্দারা কিছু গ্রামে ফিরতে শুরু করছে। যেখানে এখনও সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে সৈন্যরা চার হিজবুল্লাহ সদস্যকে আটক করেছে। 

এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলে, লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জবাব দেওয়া হবে। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ লেবাননের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের সময় হিজবুল্লাহ সদস্যদের সীমান্তের নিকটবর্তী গ্রামে ফিরে যেতে না দেওয়ার জন্য জোরালো পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। 

এদিকে আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাড. ড্যানিয়েল হাগারি একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আইডিএফ-এর লক্ষ্য হল চুক্তি কার্যকর করা। আইডিএফ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, এবং যেকোনো লঙ্ঘনের জবাব দেওয়া হবে আগুন দিয়ে।’

আইডিএফের মতে, মেইজ আল-জাবালে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আক্রান্ত হয়েছে, যা বলেছে, তারা লেবাননে সক্রিয় লড়াই থেকে চুক্তি কার্যকর করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। 

প্রায় ১৪ মাস পর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি আঞ্চলিক সংঘাত থামানোর জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত ৬০ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ হবে। এখনো ইসরায়েলি সেনারা লেবানন না ছাড়লেও এরই মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে বিজয় হিসেবে উল্লাস শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। লেবাননের বৈরুত থেকে গ্রামে সবখানেই বিজয় মিছিল করছেন স্থানীয়রা। 

এদিকে লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি এই যুদ্ধকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বাসিন্দাদের বাড়ি ফেরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনার ভূমি ও জন্মস্থানে ফিরে যান।’ 

এসবি