ইরানি কনস্যুলেট বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:০২
ছবি: সংগৃহীত।
জার্মানিতে অবস্থিত তিনটি ইরানি কনস্যুলেট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করেছে বার্লিন। ইরানে জার্মান-ইরানি নাগরিক জামশিদ শারমাহদকে নির্বিচারে ফাঁসিতে ঝোলানোর প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক একটি টেলিভিশন ভাষণে ফ্রাংকফুর্ট, মিউনিখ ও হামবুর্গে অবস্থিত কনস্যুলেটগুলো বন্ধের ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তেহরানকে একাধিকবার ও স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, একজন জার্মান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডের গুরুতর পরিণতি হবে।
বেয়ারবক আরো বলেন, ‘এটি স্পষ্ট, এই হত্যাকাণ্ডটি মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির আলোকে ঘটেছে, যা (ইরানের) স্বৈরশাসক, অন্যায় শাসনের দৃষ্টান্ত; তারা স্বাভাবিক কূটনৈতিক যুক্তি অনুসারে কাজ করে না। আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ইতিমধ্যে সর্বকালের সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে, এটা অকারণে নয়।
এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) শারমাহদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘোষণার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে কূটনৈতিক প্রতিবাদস্বরূপ কূটনীতিকদের বহিষ্কৃত করা হয়।
চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মতে, মৃত্যুদণ্ডের রায় একটি ‘কেলেঙ্কারি’।
৬৯ বছর বয়সী শারমাহদকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির’ অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ইরানি সুপ্রিম কোর্টও এ সাজা নিশ্চিত করেন। তিনি ২০০৮ সালে সিরাজ শহরের একটি মসজিদে বোমা হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য দণ্ডিত হন, যেখানে ১৪ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।
শারমাহদের পরিবার দীর্ঘকাল ধরে দাবি করে আসছে, তিনি নির্দোষ ছিলেন।
কিন্তু ইরান তার মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে থেকেছে এবং বলেছে, ‘জার্মান পাসপোর্ট কাউকে অপরাধমুক্তি প্রদান করে না, বিশেষত একজন সন্ত্রাসী অপরাধীকে।’
শারমাহদ একজন ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক। তবে এই সফটওয়্যার প্রকৌশলী যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি একটি ইরানবিরোধী দলের ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করতেন ও লেখালেখি করতেন, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করতেন।
পারিবারিক সূত্র মতে, ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্য দিয়ে যাতায়াতকালে জামশিদ শারমাহদকে ইরানি কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করে।
সূত্র : এএফপি, খালিজ টাইমস।