উপদেষ্টা নাহিদের পাশে দাঁড়ালেন সালমান মুক্তাদির, আরজে কিবরিয়া
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:০০
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #WeAreNahid হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে সে বিষয়েই নাহিদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন আন্দোলনের নেতাকর্মী, শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির তারকা, নাট্য নির্মাতা, ইনফ্লুয়েন্সার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিয়ে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেসব বন্ধের জন্যেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সমন্বয়ক ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে সমর্থন করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি লিখেছেন, ‘গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই। হাসিনার পুনর্বাসন প্রকল্পকে যারা সমর্থন করে, তারা দেশকে সেই একই পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনবে : রক্তপাত, খুন, গুম এবং আরও অনেক কিছু। হাসিনার শাসনের পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই ভয়াবহ পরিণতি হবে।’ পোস্টে নাহিদের ওপর হওয়া নির্যাতনের দুটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
এরপর থেকেই এই হ্যাশট্যাগের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় মডেল, অভিনেতা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মুক্তাদির। হাসনাত আবুল্লাহর পোস্টটি নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘এই যে যা ইচ্ছা তাই এখন বলতে পারছো, অভিযোগ করতে পারছো, নিজের প্রোফাইল থেকে সবকিছু শেয়ার করতে পারছো। প্রশ্ন করতে পারছো। এটা ভুলে যেও না। জীবনের কোনো দিন পারো নাই। এই প্রথম পারছো, ভুলে যেও না।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘অভিযোগ করো, অবশ্যই করবে। কেন করবে না। কিন্তু তুমি এই বিপ্লবকে কোনোদিন ইগনোর করতে পারবে না। অস্বীকার করতে পারবে না। সত্যি বলতে নাহিদকে আমি চিনিও না, জানিও না। কিন্তু আমি খুব ভালো করে জানি, আমি বা আমরা কয়েক শ’ মানুষ এখনো বেঁচে আছি ওদের মতো মানুষের ত্যাগের জন্য। তাদের ছাড়া আমাদের অর্ধেকও থাকতো না এখন। যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’
জনপ্রিয় রেডিও জকি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আরজে কিবরিয়া তার নিজস্ব ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করে লিখেন, এই ছেলেরা গুলির মুখে বুক পেতে দাড়াইছিলো বলে আজকে এত সাহস নিয়ে ‘সব শালারা বাটপার’ বলতে পারেন মিছিলে, সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন কমেন্ট সেকশনে। এই নাহিদরাই আমাদের হিরো। জঞ্জালে ভরা এই দেশ এত সহজে বদলাবে না জেনেও এরা নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। হিসাব নিকাশের সময় এখনো আসেনি। এদের কাজ করতে দেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলন থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়েছিলেন শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির একাংশ শিল্পী, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইনফ্লুয়েন্সাররা। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি রাজপথেও নেমেছিলেন। আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেছেন। এখনো তাদের সরব দেখা যাচ্ছে।
এফএটি/এমএইচএস