Logo
Logo

বিনোদন

সাদিয়া, রনি ও চরকি ‘বয়কটের’ নেপথ্যে কী?

Icon

ফারিহা আহমেদ তন্নী

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:০৪

একের পর এক ইস্যুতে বিনোদন পাড়ায় চায়ের কাপে ঝড় তুলছেন ছোটপর্দার সম্ভাবনাময়ী অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। তাঁর একটি ভিডিও প্রকাশ করে সাংবাদিক শফিক আল মামুনের চাকরি হারানো, কাজের প্রচারণা চালাতে ফেসবুকে বিতর্কিত লাইভ, জনপ্রিয় নির্মাতা রেদওয়ান রনির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন- এসব ছাড়িয়ে ইস্যু এবার সাদিয়া আয়মানকে বয়কটের ডাক। তাঁর সঙ্গে রেদওয়ান রনি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিকেও বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিনোদন সাংবাদিকদের একাংশ। তবে সাদিয়া, রনি ও চরকি বয়কটের নেপথ্যে আসলে কী? 

রোববার (৩ নভেম্বর) গভীর রাতে হঠাৎই ‘বয়কট সাদিয়া আয়মান, রেদওয়ান রনি ও চরকি’ লেখা ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট শুরু করেন বিনোদন সাংবাদিকরা। সমকাল সাংবাদিক অনিন্দ্য মামুন, মানবকণ্ঠ সাংবাদিক অচিন্ত্য চয়ন, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের মাকসুদুল হক ইমু, চ্যানেল আইয়ের নাহিয়ান ইমনসহ একঝাঁক সাংবাদিকের ফেসবুক ওয়ালে শুরু হয় তুমুল ঝড়। কী তাদের অভিযোগ? 

অনিন্দ্য মামুন জানান, সাদিয়া, আয়মান ও রেদওয়ান রনি চরকির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় চরকিকে বয়কট করেছেন তারা।

তিনি বলেন, রেদওয়ান রনির নামে বিভিন্ন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তিনি কমিশন নিয়ে শিল্পীদের কাজ দেন। চরকি থেকে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে চরকি থেকে বয়কট তুলে নেওয়া হবে। আমরা এক মাস অপেক্ষা করেও কোনো সমাধান পাইনি, যে কারণে এ সিদ্ধান্তে এসেছি।

এই সাংবাদিকের অভিযোগ, রেদওয়ান রনি একজন দুর্নীতিগ্রস্ত নির্মাতা। তিনি সাদিয়া আয়মানকে ইন্ধন দিয়ে একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে চাকরি থেকে পদত্যাগের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।

সাদিয়া ও রনিকে বয়কটের ডাকে কেন চরকিকে উড়িয়ে এনে জুড়ে দেওয়া হলো? এ কি চরকিকেই প্রোমোশনের কোনো গোপন এজেন্ডা? সন্দেহের এমন তীরও ছুড়ছেন কেউ কেউ।

অনিন্দ্য বলেন, ‘বয়কট’ ইস্যুটি চরকির কোনো মার্কেটিং স্ট্র্যাটিজি নয়। আমরা সাংবাদিক। আমরা তাদের সংবাদ করি, মার্কেটিং না। 

সাংবাদিক অচিন্ত্য চয়ন জানান, বয়কটের এই সিদ্ধান্ত কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নয়। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে সাদিয়া আয়মানের একটি অভিযোগে শফিক আল মামুনের চাকরি চলে যায়। তাঁর নামে অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পোস্ট দিয়েছিলেন সাদিয়া আয়মান, তা সবাই মিলে বসে সমাধানের কথা ছিল। তবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও সমাধানে আসেননি সাদিয়া। 

সাদিয়ার ভিডিও শেয়ারের অভিযোগে চাকরি হারানো শফিক আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশের খবরকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। 

বয়কটের ফটোকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করেছেন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের সাংবাদিক মাকসুদুল হক ইমুও। তিনি বলেন, একজন গণমাধ্যমকর্মীর সম্মান সবার আগে। শফিক আল মামুনের সাথে যা হয়েছে তার সমাধান আমরা বসে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সাদিয়া-রনিরা বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছেন। যে কারণে আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছি।  

সম্প্রতি চরকির সিইও হওয়ার সুবাদে কাজ দেওয়ার বিনিময়ে মোটা অঙ্কের কমিশন হাতানো ও নায়িকাদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ ওঠে রেদওয়ান রনির বিরুদ্ধে। অভিযোগ ও বয়কট বিষয়ে কথা বলতে তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার কল ও মেসেজ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এফএটি/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর