ছবি : সংগৃহীত
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান এখন ১-১ সমতায় রয়েছে। ফলে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে রূপ নিয়েছে। সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে আজ (সোমবার) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
আজকের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস বড় ভূমিকা রাখবে। শারজাহ স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এ ভেন্যুতে দিনে যত সহজে রান করা যায়, রাতে ততটা করা যায় না। প্রথম দুই ম্যাচের দিকে তাকালে সেটা বোঝা যায়। ওই ম্যাচগুলোতে যে দল আগে ব্যাট করেছে তারাই সহজ জয় পেয়েছে।
টসে হেরে বোলিং পেলেও প্রতিপক্ষকে কম রানে গুঁড়িয়ে দিতে পারলে রান তাড়া সহজ হবে। গত দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা অন্তত সেই ইঙ্গিতই দেয়। ফ্ল্যাড লাইটের আলোয় বেশি সুবিধা পান বোলাররা।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যে ৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা।
সিরিজে সমতা আনার পাশাপাশি শারজাহর মাঠে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ। ১৯৯০ সালে শারজাহর মাঠে প্রথম খেলেছিল টাইগাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি।
গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেই বল হাতে দারুণ পারফরমেন্স করেছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। ব্যাট হাতে ২৫ রান করার পর বোলিংয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন নাসুম।
এ ছাড়াও ২ উইকেট নিয়ে দলের জন্য অবদান রেখেছেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের স্পিনাররা যে ধরনের পারফরমেন্স করেছিলেন তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে রশিদ খান-আল্লাহ গজাফারদের ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের স্পিনাররা।
দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের পর ১৮ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় এখন ১১টি এবং হার ৭টি।
গত বছরের জুলাইয়ের আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই হারের আগ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত রেকর্ড ছিল টাইগারদের।
এমজে/এমআই