ছবি : বাংলাদেশের খবর
আলুর শহরখ্যাত মুন্সীগঞ্জে এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে আলুর আবাদ। বাজারে আলুর উচ্চ মূল্য থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণে আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। চলতি মাসের শুরু থেকেই আলু আবাদে নেমেছেন তারা। একইসাথে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শ্রমিকদের উপস্থিতিও বাড়ছে মুন্সিগঞ্জের পাড়া-গাঁয়ে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৭৩ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমি। আর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন। যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টন।
চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা জমির জন্য ৬৯ হাজার ৩১০ টন আলুর বীজ প্রয়োজন। এদিকে জেলার হিমাগারগুলোতে বীজ আলু মজুদ রয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার ৫১৬ টন। এ অবস্থায় বীজ আলুর সংকট কৃষকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা পুরো চাষাবাদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের টরকী গ্রামের আলু চাষী মো. নূর বলেন, ‘এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করছি। বাজারে আলুর ভালো দাম রয়েছে। তাই গতবারের তুলনায় এবার আলু চাষিদের সংখ্যা বেশি। ৩ হাজার টাকা দরে সহযোগিতা নামের এক বস্তা বীজ আলু কিনেছি। বীজের দাম অনেক বেশি। সার সংকট না থাকলেও দাম বেশি মনে হচ্ছে। আগে-ভাগেই আলু রোপণ শুরু করেছি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানিয়েছেন, চলতি বছর মুন্সিগঞ্জে ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লিখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এএস/এটিআর