Logo
Logo

সারাদেশ

রুনা-সাদিয়া অনশনে, দুজনকেই বিয়ে করতে চান শাহীন

Icon

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪০

রুনা-সাদিয়া অনশনে, দুজনকেই বিয়ে করতে চান শাহীন

শাহীনের বাড়িতে অনশন করেছেন রুনা ও সাদিয়া /ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহে বিয়ের দাবিতে শাহীন নামে এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণী অনশন করেছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুলের ছেলে শাহীনের বাড়িতে ওই দুই তরুণী অনশন করেন।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেল থেকে রুনা নামে কলেজপড়ুয়া এক মেয়ে শাহীনের বাড়িতে অবস্থান করে। রুনার দাবি, শাহীন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেম করছে। দুই পরিবার বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় রুনার পরিবার বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর তার অমতে বিয়ে দিতে গেলে রুনা বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে এসে উঠে।

অন্যদিকে, গত দুই মাস ধরে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড় তোলে শাহীন। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে। এমন ঘটনায় শাহীন ও তার পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর দাবি, শাহীন দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত। এর আগেও ধর্ষণসহ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তারা এর একটা সমাধান চায়।

প্রতিবেশীরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যার দিকে কলেজপড়ুয়া এক তরুণী শাহীনকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে আসে। এরপর শাহীনের বাড়িতে ওই মেয়ে আসার খবর শুনে আরেক তরুণীও চলে আসে। ওই দুই মেয়ের দাবি, শাহীন তাদের সঙ্গে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেম করে আসছে। এখন দুই মেয়েই শাহীনকে বিয়ে করতে চায়। 

এই নিয়ে সবাই দ্বিধায় পড়ে আছে। কাকে রেখে কার সঙ্গে বিয়ে দেবে পরিবার।

বিয়ের দাবিতে অনশন করা রুনা বলেন, শাহিনের সঙ্গে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করব না। আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এ কারণে শাহিনের বাড়িতে এসেছি। আমি তাকেই বিয়ে করব। শাহীন যদি ওই মেয়েকে বিয়ে করে আমার কোনো সমস্যা নেই।

অপর তরুণী সাদিয়া খাতুন জানান, শাহিনের সঙ্গে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এর আগে শাহিন বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে এসেছি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করায় সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ আবার শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে এসেছে বিয়ের দাবিতে। আমি তাকে ভালবাসি। আমকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। আমাকে রেখে এখন আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে চায়। এজন্য আমি আমার অধিকার আদায়ের জন্য শাহিনের বাড়িতে আসছি।

প্রতিবেশী ইসহাক মণ্ডল জানান, শাহীন ছেলে হিসেবে বেশি ভাল না। তার বিরুদ্ধে নারী সম্পর্কিত অভিযোগ অনেক। সমাজের কিছু লোক অর্থের কাছে বিক্রি হয়ে এসবের কোনো বিচার করেন না। যে মেয়েরা আসছে তাদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে।

ফজলু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি জানান, এই ছেলে এবং ছেলের পরিবারের যে কার্যকলাপ দেখছি, সেগুলো সম্পূর্ণ অশ্লীল এবং বেহায়াপনা। সমাজের মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন তারা। এই ছেলে এর আগেও অনেক খারাপ কাজে জড়িত ছিল। আজ আবার একই সঙ্গে দুই মেয়ে বিয়ের দাবি নিয়ে এই বাড়িতে উঠেছে। আমরা গ্রামের মানুষ এর একটা সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে শাহিন জানান, তাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে, তাদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুইজনকে বিয়ে করতে কোনো আপত্তি নেই। শাহিন দুজনকেই বিয়ে করতে রাজি।

হলিধানী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, গাগান্না গ্রামের শাহিনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে একই সঙ্গে দুটি মেয়ে আসছে। এটা খুবই দুঃখজনক। সামাজিকভাবে এমনটা প্রত্যাশা করি না।

ওএফ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর