গণঅভ্যুত্থানে নতুন একটি অধ্যায় সূচনা হয়েছে। জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ এখন সবার দায়িত্ব। আমরা চাই আধুনিক ও বৈষম্যহীন সমাজ। বাংলাদেশে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এ সময় গণঅভ্যুত্থানে আহত ১৩ জন ও ৭ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একি মিত্র চাকমা।  

সভার শুরুতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

সভায় বক্তারা বলেন, ‘যেকোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য এবং এটি আমরা যুগে যুগে দেখতে পেয়েছি। সব আন্দোলনে সবার পক্ষে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে, তারা আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। অন্যদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায়।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘যারা গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ভোগ করেছেন এবং যে মায়েরা সন্তান হারিয়েছেন, সবারই আত্মত্যাগ সফল হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন সুন্দর  দেশ ও সমাজ গড়তে পারি।’

সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে মতলব উত্তরের ৭ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৫ হাজার ও ১৩জন আহত পরিবারের মাঝে ৩ হাজার করে আর্থিক অনুদান প্রদান করে উপজেলা প্রশাসন।

আল আমিন ভূঁইয়া/এমজে