'ভয় দেখানো' সেই ডাক্তারকে চেনেন না প্রেস সচিব

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৯

ছবি : সংগৃহীত
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তরোগ ও মেডিসিন বিভাগের ডা. এ কিউ এম আশরাফুল হকের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ভাঙিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ওই চিকিৎসককে চেনেন না এবং কোনোদিন দেখেনওনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিটে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকের নাম লিখে দেওয়া ও রোগীকে ক্লিনিকে পাঠানোর বিষয়ে বক্তব্য নিতে গেলে বাংলাদেশের খবর’র জেলা প্রতিনিধি আফ্রিদি আহাম্মেদ ও বাংলাদেশের আলোর জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামকে হুমকি দেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, ডা. এ কিউ এম আশরাফুল হক সাংবাদিকদের বলছেন, ‘আপনি চেনেন আমি কে? আমার কথা আপনারা প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমকে জিজ্ঞেস করবেন আমি কে! আর আপনারা হাসপাতালে এসেছেন কার অনুমতি নিয়ে, আপনি জানেন সাংবাদিকদের হাসপাতালে ঢুকতে লিখিত অনুমতি লাগে? আপনারা কিসের সাংবাদিক আমাকে পরিচয় দেন। আপনারা সাংবাদিক না প্রতিনিধি? তোমরা কার পিছনে লাগছো বুঝতে পারো নাই?’- এভাবে বলতে বলতে এক পর্যায়ে রেগে হাসপাতাল থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন এবং হুমকিধমকি দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আফ্রিদি আহাম্মেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে একাধিক রোগীর অভিযোগে ডা. এ কিউ এম আশরাফুল হকের বক্তব্য চাইতে তিনি রেগে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলমের নাম ভাঙিয়ে আমাদের খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্ন হুমকি দেন।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য চাইতে গেলে হুমকি দিতেন, বিভিন্ন ভয় দেখাতেন, পেশাগত কাজে বাঁধা দিতেন। ভেবেছিলাম স্বাধীনতার পর পেশাগত কাজে বাধা আসবে না! এখন দেখি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের নাম ভাঙিয়েও আমাদের হুমকি দিচ্ছেন।’
হুমকি দেওয়ার বিষয়ে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডা. এ কিউ এম আশরাফুল হক বলেন, ‘আমার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন, আমি কোনো অনিয়ম করি কি না। এত ছোট বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে জানানো কি ঠিক হবে? আমি ওদের বলেছি, আমার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের কাছ থেকে খোঁজ নিয়েন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের কে কি আত্মীয়, সেটা কর্ম ক্ষেত্রে দেখানো উচিত না। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি।’
ডিআর/এসবি