Logo
Logo

সারাদেশ

অতিরিক্ত টাকা আদায়, পরে ফেরত পেলেন পাসপোর্ট গ্রাহক

দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেতনতা

Icon

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭

অতিরিক্ত টাকা আদায়, পরে ফেরত পেলেন পাসপোর্ট গ্রাহক

চাঁদপুরে পাসপোর্ট গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের পর তা ফেরত দিয়েছে দালালচক্র। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত গ্রাহক সচেতনতা কর্মসূচিতে দালালরা আদায়কৃত বাড়তি টাকা ফেরত দেয়।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য বন্ধে পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মামুন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  

এ সময় তারা গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অফিসের কর্মকর্তা, আনসার এবং অফিসের বাইরের দোকানদারদের সর্তক করেন।

এ ছাড়াও দালালদের সাথে কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য গ্রাহকদের সচেতন করা হয়। এ সময় মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. মিরাজের পাসপোর্ট করতে দেওয়া অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ফেরত দেয় দালাল চক্র।

পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. মামুন খান জানান, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সামনে দালালরা কম্পিউটারের দোকান দিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়ার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে পাসপোর্ট অফিসের নামে ৯ থেকে ১৫ হাজার টাকার চুক্তি করে। এতে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। 

হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নির্দেশে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বন্ধে দোকানে দোকানে গিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। দালালদের সাথে কোনো ধরনের লেনদেন না করার জন্য গ্রাহকদের সচেতন করা হয়।

পাসপোর্ট করতে আসা মো. মিরাজ বলেন, আমি পাসপোর্টেরর আবেদনের জন্য কম্পিটারের দোকানে যাই। দোকানদার আমাকে কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না বলে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা নেন। পরে ছাত্রদল নেতা মামুনের সহায়তায় দোকানদার ২ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেন। অতিরিক্ত টাকা ছাড়া আমি পাসপোর্টের কাজ সম্পন্ন করেছি।

সচেতনতা কার্যক্রমে পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কাউছার আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদল নেতা মিশু, শাকিল আহমেদ, সুজন, রুবেল, আনোয়ার, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মহন মুন্সী, সানি, জিয়া, মেহেরাজ, মামুন, রায়হান, জনি, রিয়াদ উপস্থিত ছিলেন। সহযোগিতা করেন।

চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমার এরিয়ার মধ্যে দালালদের কোনো দৌরাত্ম্য নেই। কেউ যদি অফিসের বাইরে দালালের প্রতারণার শিকার হয়, তার দায়ভার আমার নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দালাল নির্মূলে সবসময় আমরা প্রশাসনকে অবহিত করে থাকি। যেকোনো প্রয়োজনে গ্রাহকরা আমার কাছে চলে আসবেন, আমার দরজা সবসময় খোলা আছে। দালাল নির্মূলে সবার সহযোগিতা দরকার।’

আল আমিন ভূঁইয়া/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর