সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে উত্তেজনা
কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে ঢুকলেন সাদপন্থীরা
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪
ছবি : সংগৃহীত।
তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ-মাওলানা সাদপন্থী ও মাওলানা জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কাকরাইলের মারকাজ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থান নেবেন বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন তারা। সেই মোতাবেক আজ সকাল ৮ টার দিকে তারা মসজিদে প্রবেশ করেছেন।
এদিন ভোর থেকে কাকরাইল মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
২০১৭ সালে প্রথম তাবলীগ জামায়াতের সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে বিরোধ সামনে আসে। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে সাদপন্থীরা ১৪ দিন ও জুবায়েরপন্থীরা ২৮ দিন করে অবস্থান করে আসছেন। তবে মসজিদের অপর অংশ জুবায়েরপন্থীরা ১২ মাসই নিজেদের দখলে রাখেন।
সাদপন্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হেফাজত সমর্থিত জুবায়েরপন্থীরা বেশি সুবিধা ভোগ করে আসছেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ নিয়েও দুই পক্ষের বিরোধ দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে।
গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফার ইজতেমা শুরু হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
তবে ৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সমাবেশে মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা দাবি করেন, দেশে ইজতেমা একবারই হবে, দু’বার নয়। টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের আর ঢুকতে দেওয়া হবে না।
এদিকে, গত ৯ নভেম্বর এক ভিডিও বার্তায় ইমাম মুফতি আজিমুদ্দিন আগামী শুক্রবার কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের কাকরাইল মসজিদে না আসার আহ্বান জানান।
এরপর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জুবায়েরপন্থীরা ঘোষণা করেন, সাদপন্থীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এসবি