Logo
Logo

ক্যাম্পাস

‘জবির ক্যাম্পাস অন্তর্বর্তী সরকারের মেগা প্রজেক্ট’

Icon

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:২৮

‘জবির ক্যাম্পাস অন্তর্বর্তী সরকারের মেগা প্রজেক্ট’

ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্য কেরানীগঞ্জে যে জায়গাটা বরাদ্দ করা হয়েছে এটা একটি মহাপরিকল্পনা। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটি একটি বিরাট মেগা প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিটিং শেষে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একেবারে নতুন একটি ক্যাম্পাস, সেটার মেয়াদ বৃদ্ধির কাগজপত্র দীর্ঘদিন পরিকল্পনা কমিশনে পড়ে ছিল। আমি নিজ উদ্যোগে অনেক আগেই পাশ করে দিয়েছিলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এটি একটি বিরাট মেগা প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। এটা এত বড় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাস প্রকল্প, যেটা আগে কখনো হয়নি। এত বড় ক্যাম্পাস পাকিস্তান আমলের শেষের দিকে জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছিল। এত বড় মেগা প্রজেক্ট আমরা নিব কিনা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। 

সেনাবাহিনীকে ক্যাম্পাসের কাজ দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে সেনাবাহিনীকে দিয়ে ক্যাম্পাসের কাজ বাস্তবায়ন করানো হোক। এতে কোনো সমস্যা নেই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি চায়, আর তারা তো স্বায়ত্তশাসিত অনেকাংশেই। এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহযোগিতা করব কিভাবে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমরা বুঝতে পেরেছি। এত বছর ধরে কেন ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হয়নি? জমি অধিগ্রহণ কেন শেষ হয়নি? তারা বলেছে, সেখানে প্রজেক্ট ডিরেক্টরের নানা দুর্নীতি আছে। তবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করুক। প্রয়োজনে নতুন প্রজেক্ট ডিরেক্টর নিয়োগ দিক।

এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের অনেক দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। তাদের কথা শোনার জন্যই অসুস্থ শরীর নিয়ে এসেছি। এখানে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন। শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। তাদের প্রতি আমাদের আশা আছে।

এ বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি এম এ রাকিব বলেন, আমাদের যে ৩ দফা দাবি ছিল তার মধ্যে প্রথম যে দাবি ছিল আগের যে দুর্নীতিগ্রস্ত পিডিকে বরখাস্ত করতে হবে, এটা তারা মেনে নিয়েছে। আজকের মধ্যে পিডিকে বরখাস্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসি বরাবর একটি লিখিত দরখাস্ত দিবে এবং নতুন পিডি হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত আর্মিকে নিয়োগ করা হবে। তিনি এসে প্রথম ফেজের কাজটা উনার সুপারভিশনে সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালনা করবেন। তিনি বলেন, আমাদের তিনদিনের আল্টিমেটাম থাকছে না। 

এদিন দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে শিক্ষা উপদেষ্টার কক্ষে আলোচনা শুরু হয়। শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে ৫০ মিনিটের মতো আলোচনা হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সভায় ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমীন, প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক, অধ্যাপক ড. রইস উদ্দীনসহ দুই ছাত্র প্রতিনিধি তৌসিফ মাহমুদ সোহান ও এ কে এম রাকিব।

এর আগে গতকাল সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের দাবিসহ ৫ দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। তাদের দাবিগুলো হলো- স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।

পরে বিকেলে শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম ও তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে দাবি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করেন জবি শিক্ষার্থীদের ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় প্রক্টরসহ ৫ জন শিক্ষকও উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ মঙ্গলবার সভার আয়োজনের কথা বলা হয়।

জেএন/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর