Logo
Logo

ক্যাম্পাস

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে হামলা, আহত ১০

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৬

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে হামলা, আহত ১০

ছবি : সংগৃহীত



নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্ল্যাকআউট’ করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

রাজধানীর কাওলা এলাকায় নর্দান ক্যাম্পাসে গত ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভিসির সঙ্গে তিনজন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। তারা অনেকটা সময় ভিসির রুমে অবস্থানের পর একজন বেরিয়ে এসে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্ত ইট-পাটকেল ছুঁড়তে ছুঁড়তে বিশ্ববিদ্যালয় গেটের দিকে অগ্রসর হয়। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদেরকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দিলে হামলা চালানো হয়। 

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ও একাডেমিক ভবন ভাঙচুর করা হয়। সকাল ৯টার পর ক্যাম্পাসে হামলার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসমুখী হন। ভিসির রুমে দু’জন বহিরাগত আছেন জেনে শিক্ষার্থীরা রুম ঘেরাও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে যৌথবাহিনী উপস্থিত হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ভিসির রুম অবস্থানকারী দু’জনকে আটক করে দক্ষিণখান থানায় প্রেরণ করা হয়। হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা করেছে। 

ভাঙচুরের সময় পুরো ক্যাম্পাস বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটবিহীন ছিল। এই ‘ব্ল্যাক আউট’ নিয়ে দানা বেঁধেছে ধোঁয়াশা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেকশনের দাবি, ইলেকট্রিক শর্টসার্কিটের কারণে বিদ্যুৎ ছিল না। যে কারণে সেদিনের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ নেই। 

সিকিউরিটি ইনচার্জ মো. জুলফিকার আলী বলেন, হঠাৎই দুর্বৃত্তরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। আমাকে অতর্কিত মারধর করে এবং আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমাদের অনেক সহকর্মী তাদের হামলায় আহত। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী রাফাত হাসান রাজিন বলেন, সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাসে এসে দেখি দুর্বৃত্তরা হাতে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালাচ্ছে।  

সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র হাওলাদার বলেন, হামলার দিন ভীত হয়ে আমরা তিনতলা থেকে চারতলায় চলে যাই। তখন পুরো ক্যাম্পাস বিদুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। ব্ল্যাকআউটের সঠিক কারণ এখনো খুঁজে বের করতে হবে। 

সিএসই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রাজ মুকুট বলেন, আমরা সবাই ভয়ে আছি। দ্রুতই যেন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

হামলার বিষয়ে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মোস্তাফা শহিদ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, পুরোনো ট্রাস্টি বোর্ডের কিছু সদস্যের নির্দেশনায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। তাণ্ডব চালিয়ে ক্লাসরুমের গ্লাস ও ল্যাবের আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন না। অনেকে এখনো ট্রমাটাইজড। হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনকেবি/এইচকে/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর