বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ছবি : সংগৃহীত
সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরেও এখনই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কবে যাবেন, তাও নিশ্চিত করে বলছেন না কেউ। এর আগে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাবেন। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশের যাবেন লিভার প্রতিস্থাপনে। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কারণে আপাতত তার বিদেশ যাওয়া হচ্ছে না।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বিএনপির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) এবং সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়স্বজন যারা যাবেন, তাদের ভিসা প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে তাঁর বিদেশ যাত্রায় বিলম্ব ঘটছে। কী কারণে দেরি হচ্ছে, তা স্পষ্ট করতে নারাজ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে সিসিইউতে থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে বলেন, ‘ম্যাডামের বিদেশযাত্রা দেরি হবে। আগামী সপ্তাহে হতে পারে কিংবা আরও পরে হতে পারে। বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি আগের চেয়ে সুস্থ আছেন, বাসায় চিকিৎসা চলবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গুলশানের বাসায় তার সঙ্গে ছোট পুত্রবধূ রয়েছেন। এবার ম্যাডাম ও তার ছেলে তারেক রহমানের একসঙ্গে হজ পালন করার কথা রয়েছে। সেটি বিদেশ যাওয়ার সময়ও হতে পারে, আবার দেশে ফেরার পথেও হতে পারে।
মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. মামুন বলেন, ‘ম্যাডামের লন্ডনের ভিসা বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়াধীন। আমরা পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য দুই দেশের ভিসা একসঙ্গে নিচ্ছি। পরিস্থিতি বলে দেবে, আমাদের কী করতে হবে। উন্নত চিকিৎসায় প্রয়োজনে লন্ডন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ও জার্মানিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। সব মিলিয়ে তাঁর বিদেশে যেতে একটু সময় লাগছে।’
বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে খালেদা জিয়ার।
ডিআর/এমআই/এমএইচএস